গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: পিকনিক চলাকালীন বচসার জের। রাস্তায় গাড়ি আটকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের মিনাখাঁর কাছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
নতুন বছরের শুরুর দিনই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঘটকপুকুর এলাকা থেকে অন্তত ২৫জন টাকিতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। দু’পক্ষের ৩টি গাড়ি ভাঙচুর হয়। তৃণমূল নেতারা মধ্যস্থতা করে বচসা মিটিয়ে দেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আবারও আনন্দ করতে শুরু করে দু’পক্ষই। পিকনিক শেষের পর সন্ধেয় বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করেন প্রায় সকলেই। সেই সময় টাকি থেকে ঘটকপুকুরে ফিরছিলেন ওই ২৫ জন।
অভিযোগ, সেই সময় কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের মিনাখাঁর কাছে পিকনিক করতে আসা দু’টি গাড়ির মধ্যে রেষারেষি হয়। মিনাখাঁ থেকে আসা বেশ কয়েকজন যুবক সরকারি কৃষক বাজারের কাছে ঘটকপুরগামী গাড়িটিকে থামায়। ঘটকপুকুর থেকে পিকনিক করতে আসা এক গৃহবধূকে জোর করে গাড়ি থেকে নামানো হয়। তাঁকে কুমারজোলের একটি আলা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: COVID-19: সোমবার থেকে রাজ্যে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ, লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের]
শনিবার গভীর রাতে ঘটনার কথা জানতে পারে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার ভোরে কুমারজোল এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। গাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মিনাখাঁর এসডিপিও নির্মল দাস বলেন, “দুই পিকনিক পার্টির মধ্যে একটা ঝামেলা হয়। তার জেরে একজন গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছি।”
স্থানীয়দের দাবি, টাকির আশেপাশে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য লেগেই রয়েছে। মাঝেমধ্যেই পর্যটকদের গাড়ি থামিয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। শনিবার রাতের ঘটনাতেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই গৃহবধূ।