সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০ কেজি পিঁয়াজ (Onion) বিক্রি করে লাভ মাত্র সাড়ে ৮ টাকা। এই বিক্রিবাটার জন্য ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শহরের সব্জিমণ্ডিতে পৌঁছেছিলেন কৃষক। সম্প্রতি এমনটা ঘটেছে কর্ণাটকে (Karnataka)। গোটা ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে কর্ণাটের পিঁয়াজ চাষিদের। দু’টো বেশি লাভের আশায় সব্জিমণ্ডিতে এসে এতখানি হতাশ হতে হবে ভাবতে পারেননি তাঁরা। কর্ণাটকের কৃষকের এই হতাশাজনক ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি কর্ণাটকের গডগ জেলার। যশবন্তপুর বাজারের সব্জিমণ্ডিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন ৫০ জন কৃষক। সব্জিমণ্ডিতে পৌঁছতে ৪১৫ কিলোমিটার সফর করতে হয়েছিল তাঁদের। যদিও পিঁয়াজের কুইন্টাল প্রতি দর ওঠে মোটে ২০০ টাকা। দাম শুনে হতাশ হন কৃষকরা। অধিকাংশ চাষি উৎপন্ন ফসল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন। যদিও অন্যরকম ভাবেন পাওয়াপেড্ডা হাল্লিকেরি। ন্যূনতম দামেই ফসল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুরীর সৈকতে কিশোরীর বিকৃত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার! ধর্ষণ করে খুন, অভিযোগ পরিবারের]
গডগের তিমাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সঙ্গে ২০৫ কেজি পিঁয়াজ এনেছিলেন বিক্রির জন্যে। সব্জিমণ্ডির পড়তি দামের হিসেবে ৪১০ টাকা দাম হয়। শেষ পর্যন্ত লাভ হয় ৮ টাকা ৩৬ পয়সা। কেন? আসলে পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে একাধিক খরচ হয় তাঁর। কুলিকে দিতে হয় ২৪ টাকা। পরিবহণ খরচে চলে যায় ৩৭৭ টাকা ৬৪ পয়সা। ফলে হাতে নগদ থাকে সাড়ে ৮ টাকা মতো। তাঁর পেঁয়াজ কাণ্ড ও যাবতীয় হিসেবপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পাওয়াপেড্ডা হাল্লিকেরি।
[আরও পড়ুন: স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে হবে, জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের]
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের ও সঙ্গী চাষিদের হতাশার কথা জানান তিনি। হাল্লিকেরির বক্তব্য, প্রতি বছর যশবন্তপুর বাজারে ফসল বিক্রি করেন। ভাল দাম পান। এই বছর পিঁয়াজের দাম এমন তলানিতে এসে ঠেকবে ভাবতে পারেননি। চাষিরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পিঁয়াজের দর ২০০ টাকা কুইন্টাল হলেও ক’দিন আগেও দর ছিল ৫০০ টাকা কুইন্টাল। গোটা ঘটনায় চাষিরা উদ্বেগে ভুগছেন। এই বিষয়ে প্রতিবাদ দেখাতে চান তাঁরা। পিঁয়াজ চাষিরা দাবি করছেন, তাঁদের যাতে ন্যূনতম লাভ হয় সেকথা মাথায় রেখে ফসলের মূল্য ধার্য করুক রাজ্য সরকার।