shono
Advertisement

বোতলে বাতকর্ম বিক্রি করে মোটা টাকা উপার্জন! তরুণীর পরিণতি কী হল জানেন?

ওই ব্যবসা করেই সপ্তাহে তাঁর রোজগার ছিল ৩৮ হাজার ডলার।
Posted: 04:36 PM Jan 05, 2022Updated: 04:36 PM Jan 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেয়ার আর মোর থিংস ইন হেভেন অ্যান্ড আর্থ…। সত্য়িই বড়ই অদ্ভুত এই পৃথিবী! আর তা যেন কল্পনাকেও হার মানায়। এই যেমন স্টেফানি মাট্টো। তরুণীর এ এক আজব পেশা। বোতলে বোতলে বাতকর্ম (Fart) ভরে তিনি বিক্রি করেন! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। এই বস্তুটিও যে বিক্রি হতে পারে এবং তা কিনতেও লোকে আগ্রহী হয়, একথা কোনওদিন ভেবেছিলেন? একটু আধটু নয়, ওই ধরনের বোতল বেচে সাপ্তাহিক ৩৮ হাজার ডলার পর্যন্ত রোজগার করেছেন স্টেফানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেজন্য এক নিদারুণ অভিজ্ঞতায় পড়তে হল তাঁকে। যার ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত ছাড়তেই হল এই বিচিত্র পেশা।

Advertisement

ব্য়াপারটা ঠিক কী? খুলেই বলা যাক। ৩১ বছরের স্টেফানি কানেক্টিকাটের বাসিন্দা। বোতলে বোতলে ‘হাওয়া কা ঝঁওকা’ জমিয়ে তা বিক্রি শুরু করেন তিনি। দ্রুত এই অভিনব পণ্য কিনতে লাইন লেগে যায়! এক বোতলের দাম ধার্য করা হয় ১ হাজার ডলার! কিন্তু এত চড়া দামেও ক্রেতার অভাব হয়নি। আগেই বলা হয়েছে, স্টেফানির সাপ্তাহিক রোজগারই পৌঁছে গিয়েছিল ৩৮ হাজার ডলারে।

[আরও পড়ুন: ছিঃ! মৃত্যুর পরও থামেনি ধর্ষণ! রাজস্থানের আদিবাসী কিশোরীর পরিণতিতে চাঞ্চল্য]

ক্রমে চাহিদা এতই বাড়ে, ১ সপ্তাহে ৫০টি পর্যন্ত বোতল বিক্রি হয়ে যেতে থাকে! আর এত বেশি পরিমাণে বাতকর্ম ‘উৎপাদন’ করতে গিয়ে স্টেফানির হাল হয়ে যায় বেহাল! তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সেকথা। সেদিন তিনি তিনটি প্রোটিন শেক ও এক অতিকায় বাটি ব্ল্যাক বিন স্যুপ খেয়ে ফেলেন। এরপরই তাঁর মনে হতে থাকে, শরীরটা ঠিক জুত লাগছে না।

স্টেফানির কথায়, ”নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। যতবারই শ্বাস নিতে যাই, বুকের মধ্যে অদ্ভুত চিনচিনে অনুভূতি।” তিনি বুঝতে পারছিলেন তাঁর যকৃতে অসম্ভব চাপ পড়ছে। স্টেফানির মনে হয়েছিল, তাঁর অন্তিমকাল উপস্থিত। স্ট্রোক হয়েই মরে যাবেন তিনি। শেষমেশ ছুটতে হয় হাসপাতালে। তবে ডাক্তারকে নিজের পেশা সম্পর্কে কিছু বলতে ভরসা পাননি স্টেফানি।

[আরও পড়ুন: মল ত্যাগ না করে এবার দান করুন! চাহিদা তুঙ্গে, কেন জানেন?]

শেষমেশ অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নিতে পেরেছেন তিনি। আপাতত বদলও করেছেন ডায়েট। যার ফলে সমস্ত অস্বস্তি থেকে মুক্তি। যদিও স্টেফানি জানতে পেরেছেন, স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক কোনওটাই হয়নি তাঁর। যা হয়েছিল তা ভয়ানক রকম গ্যাসের যন্ত্রণা। যাই হোক, আর বাতকর্ম বিক্রির বিদঘুটে পেশায় ফিরতে রাজি নন স্টেফানি। আপাতত ডিজিটাল আর্ট ফর্ম বিক্রি করার দিকেই মন দিয়েছেন তিনি। মেয়ে পেশা বদলানোয় দারুণ খুশি তাঁর বাড়ির লোক। রোজগার যতই হোক, এমন পেশা কি সত্য়িই মেনে নেওয়া যায়?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার