দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সোনার বিগ্রহ কেনার লোভে পড়ে বিপদ! বিগ্রহ কিনতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে এক ব্যক্তি। প্রতারকের মারধরে অসুস্থ তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির ওই ব্যক্তি ভর্তি হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা এখনও কিছুটা স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাবড়ার বাসিন্দা অসীম হাওলাদারের সঙ্গে কুলতলির জালাবেড়িয়ার আরিফ শেখের আলাপ হয়। আরিফ সস্তায় সোনার বিগ্রহ কেনার প্রস্তাব দেয়। কম দামে পাওয়া যাবে শুনে রাজি হয়ে যান অসীমবাবু। একদিন বিগ্রহ চাক্ষুষ করেন তিনি। এরপর কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়মতো কুলতলিতে যান অসীমবাবু। অভিযোগ, আরিফ তাঁকে বাইকে বসিয়ে পরিচিতর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নামে নির্জন জায়গায় দাঁড়ায়।
[আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হিসাব বহির্ভূত বিপুল টাকার লেনদেন! গ্রেপ্তার কনস্টেবলের স্ত্রী]
তাতেই সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তাতে বাধা দেয় আরিফ। অসীমবাবুর উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। শুধু তাই নয় তাঁর সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ২ হাজার টাকাও ছিনতাই করে নেয় আরিফ। স্থানীয়রা অসীমকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায় অসীমকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
উল্লেখ্য, সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিকাংশই মৎস্যজীবী। তাঁরা মাঝেমধ্যেই বাঘের হামলার শিকার হন। হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা ভগবানকে প্রতিনিয়তই স্মরণ করেন। তাঁদের সেই বিশ্বাসকে হাতিয়ার করেই চলছে প্রতারণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পর্ক তৈরি করে সোনার দেবী মূর্তি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করছে একদল মানুষ। প্রতিমা না দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল। অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকা বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারপর এই প্রতারণা চক্র বেশ কয়েকদিন ‘কুকর্ম’ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি আবার তা মাথাচাড়া দেয়। এখনও পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ তার খোঁজ করছে।