মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে বাবাকে ইঁট দিয়ে মেরে খুন। অভিযুক্ত ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে রাজাপুর থানার জগন্নাথপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম তপন মণ্ডল (৫৮)। ঘটনায় রাজাপুর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত কুমারেশ মণ্ডলকে আটক করেছে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, কুমারেশ মণ্ডল সেভাবে কোনও কাজ না করে সারাদিন নেশা করত। গত কয়েকদিন নেশার টাকা না পেয়ে বাড়িতে অশান্তি করছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতেও কুমারেশের সঙ্গে তার বাবা তপন মণ্ডলের ঝামেলা বাধে। কারণ, সেই নেশার টাকা। অভিযোগ রাগে কুমারেশ ইট দিয়ে তপন মণ্ডলকে মারে। তাতেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু রাতে বিষয়টা কেউ জানতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও তপনবাবু ঘুম থেকে ওঠেননি। তাতেই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তারা তপনবাবুর ঘরে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যান। এদিকে বিষয়টা জানাজানি হতেই কুমারেশ পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলে।
[আরও পড়ুন: খুন নাকি আত্মহত্যা? ভোটের আগে BJP বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যুতে সবংয়ে চাঞ্চল্য]
পরে রাজাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুমারেশকে আটক করে। মৃত ব্যক্তির বউমা অঞ্জলি মণ্ডল জানান, কুমারেশ একমাসের বেশি সময় ধরে কাজে না গিয়ে সারাক্ষণ নেশা করত। নেশার টাকা না পেলে অশান্তি করত। তিনি অভিযোগ করেন, ইদানিং কুমারেশ বটি, কাটারি, রড নিয়ে ঘুরে বেড়াত। তাতে সকলে আতঙ্কে থাকত। বুধবার রাতেও নেশার টাকা না পেয়ে অশান্তি করে ধৃত। অঞ্জলি মণ্ডলের দাবি, কুমারেশ বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ কারক জানান, ৪-৫ দিন ধরে কুমারেশ অত্যাচার করছিল। বুধবার কুমারেশকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তারপরে এই ঘটনা।