সুমন করাতি, হুগলি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের। জামাইষষ্ঠীর নামে ডেকে প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল হুগলির বৈদ্যবাটি। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে তাঁর প্রেমিকের।
জানা গিয়েছে, হুগলির হাওড়ার মাকরদহের বাসিন্দা দীপঙ্কর কুণ্ডু। তাঁর বয়স ৪৪ বছর। প্রায় আড়াই বছর ধরে হুগলির বৈদ্যবাটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী। সপ্তাহে একদিন করে বাড়ি আসতেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরে পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন দীপঙ্করের স্ত্রী। বিষয়টা জানাজানি হতেই চরমে ওঠে দাম্পত্য কলহ। এক পর্যায়ে বাড়ি ফেরা বন্ধ করে দেন দীপঙ্কর।
[আরও পড়ুন: খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৪ দরজাই. ক্ষমতায় এসেই বড় সিদ্ধান্ত বিজেপির]
বুধবার রাতে বৈদ্যবাটি ৮ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন নির্জন এলাকায় দীপঙ্কর কুণ্ডুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। কাউন্সলির অভিজিৎ গুহ পুলিশকে জানালে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের। অভিযোগ, জামাইষষ্ঠীর নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবককে খুন করেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি। সহযোগিতা করেন প্রেমিক। ইতিমধ্যেই মৃতের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত রিজু মাঝির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।