সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রাতের অন্ধকারে দুই মদ্যপের তাণ্ডব। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মদের বোতল ভেঙে ওষুধের দোকানের কর্মচারীকে এলোপাথাড়ি কোপ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বজবজে। আতঙ্কে কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা। আমজনতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন সুজিতকুমার দাস। তাঁর বাড়ি বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরঘাটে। পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মী। দোকান থেকেই ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, ফেরার পথে দোকানের কিছুটা দূরে বজবজ ফায়ার ব্রিগ্রেড অফিসের সামনে হঠাৎই দুই মদ্যপ যুবক তাঁর পথ আটকায়। তাঁর কাছে টাকা দাবি করে। সুজিতবাবু জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। এখানেই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, টাকা না পেয়ে হাতে থাকা মদের বোতল ভেঙে এলোপাথারি সুজিতবাবুকে আঘাত করতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে সহবাস! কাঠগড়ায় CPM নেতা]
সুজিতবাবু আর্তনাদ করতেই ফায়ার ব্রিগেডে কর্মীরা বেরিয়ে বিষয়টি দেখতে পান। লোকজন দেখে ওই যুবকেরা চম্পট দেয়। তড়িঘড়ি সুজিতবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে বজবজ পুর হাসপাতাল এবং পরে বেসরকারি নার্সিংহোম নিয়ে গেলে সেখানেই তার গলায় অস্ত্রোপ্রচার করা হয়। তার গলায় ২২ টি সেলাই পড়েছে। রাস্তায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সন্ধানে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জনবহুল বজবজ স্টেশন রোড যেখানে ব্যাংক, স্কুল, ফায়ার ব্রিগেড এর মতন অফিস রয়েছে সেখানে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? স্বাভাবিকভাবেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।