সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ দেশ মন্দিরের দেশ। গাছ-পাতা থেকে নুড়ি-পাথর পুজ্য দেব-দেবীর তালিকা এ দেশে শুরু হয় ঠিকই, কিন্তু শেষ আর হয় না। পথে-ঘাটে এ দৃশ্য অবশ্য চোখ সওয়া দেশবাসীর। তবে সকলকে চমকে দিয়ে পৃথিবী ছাড়িয়ে মহাকাশ থেকে ভগবানকে এনে মন্দিরবন্দি করলেন এক ভক্ত। মন্দিরের দেশে এবার আবির্ভূত হলেন নয়া 'ভগবান' ভিনগ্রহী বা এলিয়েন। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও বাস্তবে এমনই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর সলেম জেলায়। এলিয়েনকে সন্তুষ্ট করতে সেথায় নিত্য চলে পূজাপাঠ।
সলেম জেলায় মল্লামুম্পাবট্টির বাসিন্দা লোগনাথন তাঁর নিজের গ্রামে তৈরি করেছেন ভিনগ্রহীর এই মন্দির। অদ্ভুত এই মন্দির প্রসঙ্গে লোগনাথন বলেন, বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এই বিপর্যয় বন্ধ করার ক্ষমতা শুধুমাত্র এলিয়েনদেরই আছে। সে কথা ভেবেই এই মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিয়মিত মন্দিরে এসে ভিনগ্রহীকে তুষ্ট করতে পূজাপাঠ চালান লোগনাথন নিজেই। জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে লোগনাথন নিজের গুরু সিদ্ধ ভাগ্যের সমাধির কাছে তৈরি করেন এই মন্দির। যদিও তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, মন্দির তৈরির কাজ এখনও চলছে। যা কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের পর এবার ইউজিসি নেট পরীক্ষার নয়া দিন ঘোষণা এনটিএ-র]
মন্দিরের মধ্যে যে বিগ্রহ রয়েছে সেটিও বড় অদ্ভুত। কালো রঙের এই মূর্তির মাথা বিশাল, চোখ দুটি আবার সাদা। ছবিতে দেখা কাল্পনিক ভিনগ্রহীদের মতোই দেখতে এই 'ঈশ্বর'। এমন অদ্ভুত মন্দির প্রসঙ্গে লোগানাথনের দাবিও বেশ আশ্চর্যজনক। তাঁর দাবি, তিনি এলিয়েনদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং তাঁদের অনুমতি নিয়েই তৈরি করেছেন এই মন্দির। তবে এই মন্দিরের প্রতি মানুষের বিশ্বাস প্রসঙ্গে লোগানাথন বলেন, এলিয়েনরা আমাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করে। কিন্তু তার জন্য প্রথমে আপনাকে এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখতে হবে। এর পর আপনি যদি ২২ মিনিট ধ্যান করেন তবে আপনি আপনার যা প্রয়োজন তাই পাবেন।
[আরও পড়ুন: ভূমিধসে ঘরহারা ওয়ানড়বাসীর পাশে রাহুল, শতাধিক বাড়ি বানানোর প্রতিশ্রুতি]
তবে এলিয়নের মন্দির বলে মশকরা করার জায়গা নেই। দিনে দিনে এই মন্দিরের ভক্তের সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে। ভক্তদের দাবি অনুযায়ী, এই এলিয়েন ঈশ্বরের রয়েছে দৈব ক্ষমতা। এমন অদ্ভুত মন্দির দেশের কোথাও না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দির দেখতে। তবে শুধু এলিয়েন নয়, এই মন্দিরের পাশে রয়েছে শিব, পার্বতী, কালী এবং মুরুগানের মতো একাধিক দেবদেবীর মূর্তিও।