নন্দন দত্ত, বীরভূম: যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হতে যান রোগীরা, সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিলই হয়ে উঠল মৃত্যুফাঁদ! পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হল সোম কিসকু নামে এক আদিবাসী যুবকের।
বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার ঘটনা। রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিলের পাশে শৌচে গিয়েছিলেন সোম। তখনই ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল। চাপা পড়েন সোম। গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে মল্লারপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাম আমলে তালোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে দুদিন বহির্বিভাগ পরিষেবা চালু আছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দশা বেহাল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অরূপ মণ্ডল বলেন, “সকাল বেলায় প্রচণ্ড শব্দ শুনে ছুটে আসি। দেখি পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। তলায় চাপা পড়ে আছেন আদিবাসী পাড়ার সোম।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও জানান, যে কোনও দিন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছাদ ভেঙে পড়তে পারে। আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী শেখ সোনারুল বলেন, “সোম আমার কাছে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ওর আদি বাড়ি কাটিয়ার। শ্বশুরবাড়ি তালোয়াতেই থাকত। পাঁচিলটি কমজোর হয়ে পড়েছিল। আজ সকালে সোমের উপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।”
[আরও পড়ুন : কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত রাজ্যপাল, অনুষ্ঠানে আপত্তি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের! তুঙ্গে বিতর্ক]
স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরোধী নেতা রিয়াজউদ্দিন শেখের কথায়, “বার বার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ঠিক করার কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। কখনও চিকিৎসক আসে তো ওষুধ আসে না। ওষুধ থাকলে চিকিৎসক থাকেন না।” রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে বলেন, “আদিবাসী পাড়ার মধ্যেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এই মৃত্যুর ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ করছি।”