বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: জালনোট পাচারের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তির মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানা এলাকায়। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? পুলিশের ভূমিকা ঠিক কী ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আবদুল গনি শেখ। নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার পানিঘাটা স্কুলপাড়ার বাসিন্দা তিনি। তবে দীর্ঘদিন থাকতেন হরিয়ানায়। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। দুই বিয়ে ওই ব্যক্তির। তবে কোনও স্ত্রী-ই তাঁর সঙ্গে থাকেন না। শনিবার নদিয়ার ভীমপুর থানার পুলিশ জালনোট পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আবদুল গনি-সহ ৪ জনকে। ওইদিন রাতে লকআপে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল গনি শেখ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ময়নাতদন্তের দাবি জানায় পরিবার। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
[আরও পড়ুন: হলদিয়ায় ক্লোরাইড মেটাল কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে অসুস্থ ছিলেন আবদুল গনি। সেই কারণে এই মর্মান্তিক পরিণতি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জালনোট পাচারের সময় হাতে নাতে ধরা হয়েছিল আবদুল গনি ও তাঁর সাগরেদদের। তার থেকে প্রচুর টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, আন্তঃরাজ্য পাচারে যুক্ত ছিল আবদুল গনি। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি জানান, পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে আবদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে ধৃত সিরাজুল শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসার পর আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।