শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বাড়িতে নিত্যদিন আসে একের পর এক পুরুষ। তা নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের আপত্তি ছিলই। তবে উৎসবের মরশুমে তৃতীয়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। চলল গুলিও। উত্তপ্ত আসানসোলের গোপালপুর। জখম যুবক বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি।
ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার রাতে এক যুবক আসানসোল পুরনিগমের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুরের সৎসঙ্গ নগরের তেঁতুলতলার বাসিন্দা তরুণীর বাড়িতে ঢুকেছিল। খবর পেয়ে কয়েকজন যুবক ওই বাড়ির সামনে আসেন। সকলে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। জেরার ফাঁকে মেজাজ হারায় প্রত্যেকে। আচমকা গুলি চলে। অঙ্কিত বর্মণ নামে ওই যুবকের থুতনিতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যুবক। প্রত্যেকে পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে সৈনিকদের ‘অপমান’, একতা কাপুরের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুণ্ডুর নেতৃত্ব বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তার। যদিও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ওই যুবক। যদিও অন্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যুবকের পরিবারের লোকেরা তাকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেছেন। থুতনিতে গুলি লেগেছে বলেই খবর।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, ওই তরুণীর বাড়িতে সারাদিন ধরে বহিরাগত নানা লোকের আনাগোনা। তরুণীর বাবা-মা এ বিষয়ে তাকে সমর্থন করেন বলেও দাবি প্রতিবেশীদের। ওই তরুণীর শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। কী কারণে গুলি চলল, সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু বলতে পারেনি। পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, “তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”