সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন বাস্তবের টারজান! ৪১ বছর ধরে ভিয়েতনামের (Vietnam) গভীর অরণ্যেই বাস ভ্যাং ল্যাংয়ের। বন্ধু-আত্মীয় সবই বনের প্রাণীরা। যৌনতা (Sex) তো দূর-অস্ত এমনকী মহিলা সম্পর্কেও কোনও ধারণাই নেই তাঁর!
বিষয়টা ঠিক কী? কীভাবে জঙ্গলে গেলেন ভ্যাং ল্যাং? সালটা ১৯৭২। ভিয়েতনামের যুদ্ধ প্রায় শেষ। সেই সময় বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ভ্যাং ল্যাংয়ের মা ও দুই ভাই-বোনের। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন বাবা, দাদা ও ভ্যাং। প্রাণে বাঁচতেই দুই ছেলেকে নিয়ে ভিয়েতনামের ট্র জেলায় পালিয়ে যান ভ্যাংয়ের বাবা। তখন বাস্তবের টারজান অর্থাৎ ভ্যাং ল্যাং নিতান্তই শিশু। তাঁর কিছুই মনে থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও আর এলাকায় ফিরে যাননি ভ্যাং ল্যাংয়ের বাবা। দুই ছেলেকে নিয়ে ৪১ বছর জঙ্গলেই কাটিয়ে দেন তিনি। ফলে বাইরের জীবন সম্পর্কে কোনও ধারণাই তৈরি হয়নি ভ্যাং ল্যাংয়ের। তাঁর কাছে পোশাক বলতে ছিল গাছের ছাল দিয়ে তৈরি ল্যাংগট। আর খাদ্য বলতে পশু-পাখি, মধু, ফলমূল। এভাবেই চলছিল দিন। মহিলা সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না ভ্যাংয়ের। যৌনতা কী, তাও অজানা তাঁর। যদিও এই অরণ্যের জীবন শেষ হয়েছে ভ্যাংয়ের।
[আরও পড়ুন: ‘জঙ্গিদের থেকেও ভয়ংকর’ দেবাঞ্জন, কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
সালটা ২০১৫। সেই সময় এক ফটোগ্রাফার (Photographer) সেরেজোর হাত ধরে সভ্য জগৎ তথা বাহ্যিক দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় ভ্যাংয়ের। ওই ফটোগ্রাফারই জঙ্গলের বাইরে আনেন তিনজনকে। পরবর্তীতে নারী বিষয়টি কী তা খানিকটা জানলেও নারী-পুরুষের পার্থক্য আজও অজানা ভ্যাংয়ের। নতুন এই জগৎ পেয়ে খুশি তিনি। পশুরা যে মানুষের পোষ মানে তা দেখে অবাক ভ্যাং। সেরেজো জানিয়েছেন, তার দেখা সব থেকে ভাল মানুষ ভ্যাং। যিনি নিষ্পাপ শিশুর মতোই সরল।