সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশ থেকে ঘুরে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন স্ত্রী। স্বামী ভেবেছিলেন অনায়াসে তাঁর শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণ চিনা ভাইরাস। তবে স্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি স্বামী। নিছক সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে আটকে রাখলেন স্বামী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে।
উত্তর-পূর্ব ইউরোপের লিথুয়ানিয়ার ওই মহিলার এক প্রতিবেশী সদ্যই বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। করোনা আতঙ্কের মাঝেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। মহিলার ‘অপরাধ’ একটাই, মারণ চিনা ভাইরাসের কথা মাথায় না রেখে প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে স্বামীকে সেকথা জানান। স্ত্রীর কথা শুনে অবশ্য ততক্ষণে চক্ষু ছানাবড়া স্বামী। এ কি বলছেন সহধর্মিণী? বিদেশ থেকে আসা কারও সঙ্গে কথা বললেও যে করোনা হতে পারে, এমনই ভিত্তিহীন ভাবনাচিন্তা সেই সময় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল স্বামীর। স্ত্রীর কথা শেষ পর্যন্ত শোনার ধৈর্য ধরতে পারেননি ওই ব্যক্তি। তার আগেই স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন। টানতে টানতে শোওয়ার ঘর থেকে শৌচালয়ের সামনে নিয়ে যান। স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে শৌচালয়ের ভিতরেও ঢুকিয়ে দেন। এরপরই দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন স্বামী। এত কাণ্ডের পরেও স্বামীর অদ্ভুত আচরণের কারণ বুঝতে পারছিলেন না মহিলা। চিৎকার করতে শুরু করেন মহিলা। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় স্বামী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ডায়মন্ড প্রিন্সেসের পর করোনার কবলে আরেক জাহাজ, ১ যাত্রীর মৃত্যুতে তীব্র আতঙ্ক]
দীর্ঘক্ষণে শৌচালয়ে বন্দি থাকাকালীন চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তা শুনে প্রতিবেশীরা ভাবেন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর যায় পুলিশ। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করে। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয় মহিলার। তবে ওই মহিলার শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
The post করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, স্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে আটকে রাখলেন স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.