টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus) বলি আরও ১ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে (Bankura Sammilani Medical College And Hospital) ভরতি ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে তাঁর শরীরে থাবা বসায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সোমবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাঁকুড়ারই বাসিন্দা। করোনা থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে। এছাড়া চোখে সমস্যাও ছিল। সেই কারণে তাঁকে ভরতি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে শুরু হয় চিকিৎসা। চোখের অস্ত্রোপচারও হয়। এরপরই তাঁর শরীরে অস্তিত্ব মেলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, তাঁর চোখে পচন ধরেছিল। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত মোট ৭ জন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বাকি ছ’জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেই কারণে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি ৫ জনের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়াতেই।
[আরও পড়ুন: ছোটপর্দার অভিনেত্রী তিয়াশার সঙ্গে মন্দিরে যাওয়া নিয়ে ব্যঙ্গ, ‘ফুর্তি’র সাফাই দিলেন মদন মিত্র]
এ নিয়ে রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বলি মোট ৩। আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২৫-এর কাছাকাছি। একদিকে করোনা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তার মধ্যেই আচমকা হানা দিয়েছে এই কালো ছত্রাক। করোনা রোগীদের শরীরেই বাসা বাঁধছে এই জীবাণু। মূলত চোখ, ফুসফুসের সমস্যার মূলে রয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ। যাঁদের উচ্চহারে ডায়বেটিস রয়েছে, তাঁরাই বেশি কালো ছত্রাকের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে রাজ্যে যে ক’জন ব্ল্য়াক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত, তাঁদের সিংহভাগই সুগারের রোগী বলে খবর। ফলে করোনা সংক্রমিত হলে অবিলম্বে সুগার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।