ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গ্রামের মেলা থেকে নদীর পাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে পাঁচজন যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই অন্য জেলার। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানা এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য। ওই নাবালিকার প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করাচ্ছে পুলিশ৷ ঘটনার তদন্তে গ্রামে যান খোদ বীরভূম পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী৷ আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজি ভরতলাল মীনাও।
শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ প্রেমিকের সঙ্গে ওই মেলায় গিয়েছিল নাবালিকা। অভিযোগ, প্রেমিকের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই পাঁচ যুবক তাকে একে একে গণধর্ষণ (Gangrape) করে বলে অভিযোগ। প্রেমিকের মাধ্যমে গণধর্ষণের খবর জানাজানি হয়। নাবালিকা বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি সে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের চেষ্টার অপমান ঢাকতে গায়ে আগুন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নাবালিকা]
এদিন পরিবারের লোকজন শান্তিনিকেতন থানায় খবর দেয়৷ খবর পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী নাবালিকার গ্রামে যায়৷ পরে গ্রামে যান বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। অভিযুক্তরা সম্ভবত অন্য জেলা থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছিল। মেলা থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে টার্গেট করে। এরপর তাকে গণধর্ষণও করে তারা। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। নির্যাতিতা প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করাচ্ছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বোলপুর থানা এলাকায় এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তৃণমূল নেতা ও তার সাগরেদরা৷ তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায়। একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই। এই ঘটনার তদন্তে শান্তিনিকেতন থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজি ভরতলাল মীনা।