বাবুল হক, মালদহ: ফের বাংলায় ধর্ষণের (Rape) শিকার নাবালিকা। হাত-পা-মুখ বেঁধে প্রথমে মাঠে, তারপর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করা হল বলে অভিযোগ। নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে। মালদহের (Malda) বুকে একের পর এক এহেন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুরের বাসিন্দা নির্যাতিতা ছাত্রী। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রাতে শৌচকর্মের জন্যে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। সেই সময় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সুলতান আনসারি নামের এক যুবক তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। দ্রুত মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। এরপর হাত পা মুখ বেঁধে তাকে তুলে নিয়ে যায় গ্রামের একটি মাঠে। সেখানে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় সুলতান ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৯৫০ পার]
অত্যাচারের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। তখনই অভিযুক্ত সুলতান আনসারি নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় নির্যাতিতাকে। সেখানে বারংবার তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সুলতান আনসারি কিছুক্ষণের জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছিল, বিষয়টা টের পেতেই আর্তনাদ শুরু করে ওই কিশোরী। অন্যদিকে, ততক্ষণে নাবালিকাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছে তাঁর বাড়ির লোকজন। গ্রামের অন্যান্যরাও জড়ো হয়ে যায়। তাঁরাই উদ্ধার করে নাবালিকাকে। এদিকে বেগতিক দেখে পালায় সুলতান আনসারি নামের ওই যুবক।
রাতেই নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ জানানো হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। যদিও পুলিশের দাবি, এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।