দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলেছিলেন বাবা-মা। দ্রুত বাড়ি ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাড়ি গেলে কোন জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, সেই আতঙ্কে আত্মঘাতী হল বছর ১৬-এর এক কিশোরী। ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) চন্দননগরের।
জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম নম্রতা দাস। বাড়ি চন্দননগরের পালপাড়ায়। শনিবার দুপুরে বান্ধবীর জন্মদিনে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় ওই কিশোরী। এরপর সোজা যায় তার প্রেমিকের বাড়ি। সেখানে প্রেমিকের জন্মদিন উদযাপন করে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে। তারপর সন্ধেবেলা নম্রতা তার প্রেমিক ও এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ই মোটরবাইকে করে যাওয়ার পথে নম্রতা ওই যুবকের সঙ্গে ঘুরতে দেখেন তার বাবা-মা। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলেন। রক্ষণশীল পরিবারের ওই কিশোরী এতেই অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন:ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আসানসোলে ভস্মীভূত অন্তত ১০টি বাড়ি ও দোকান, প্রাণ গেল একজনের]
জানা গিয়েছে, এরপরই কিশোরী তার প্রেমিক ও বান্ধবীকে জানায় তখনই তাকে বাড়ি ফিরতে হবে। একটি টোটো ভাড়া করে সোজা চলে যায় চন্দননগর হাসপাতাল মোড়ে। ঢোকে এক বান্ধবীর আবাসনে। তবে বান্ধবীর ফ্ল্যাটে না ঢুকে সোজা সিড়ি দিয়ে চারতলার ছাদে উঠে যায় নম্রতা। সেখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। বিষয়টি নজরে পড়তে স্থানীয়রাই কিশোরীকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কিশোরীর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করেছে। মেয়ের এই পরিণতিতে বাকরুদ্ধ দাসদম্পতি।