অভিষেক চৌধুরী, কালনা: গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া সেলফি তুলে প্রেমিককে পাঠিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী। এমনই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল কালনায়। মৃত ছাত্রীর নাম কোয়েল রুইদাস(১৭)। বাড়ি কালনার কুমোরপাড়া এলাকায়। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল কোয়েল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়েল রুইদাস নামে ওই ছাত্রীটি অল্প বয়স থেকেই কালনা কুমোরপাড়ায় মামারবাড়িতে থাকত। স্থানীয় স্কুলেই সে পড়াশোনা করত। মামারবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়েলের বাড়ি মেমারি পাল্লা রোডে। তার বাবার নাম রাজু রুইদাস। পড়াশোনার সুবিধার্থে তাকে লকডাউনের সময় একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয় মামারবাড়ি থেকে।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মী এসেছে ঘরে, অন্নপ্রাশনে নাতনিকে মঙ্গলের জমি উপহার ঠাকুমার]
অভিযোগ, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে কোয়েলের আলাপচারিতা শুরু হয়। অল্প সময়েই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেখা না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিনরাত ভালবাসার মেসেজ আদান-প্রদান চলত কোয়েল ও তার প্রেমিকের মধ্যে। ভাঙা ভাঙা ইংরাজি ও হিন্দি কথাবার্তা হতো। যদিও এই সম্পর্ক মামারবাড়ির দাদু ও মামাদের অজানা ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে কোয়েলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মেমারি পাল্লা রোড থেকে ছুটে আসেন কোয়েলের বাবা-মা। এরপর কোয়েলের মোবাইল চেক করেন তাঁরা। মেসেজ দেখে চমকে যান। দেখা যায়, কোয়েল হোয়াটস অ্যাপে প্রেমিককে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়ার সেলফি তুলে পাঠিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই ছবি পাঠানোর পরই নাবালিকা আত্মঘাতী হয়েছে।
মৃতার দাদু মিন্টু রুইদাস বলেন, “নাতনি ছোট বয়স থেকেই এখানে থাকে। পড়াশোনাও করত। এর জন্য মোবাইলও কিনে দেওয়া হয়। প্রেম-ভালবাসার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। তবে এক যুবক মঙ্গলবারও বহুবার নাতনির ফোনে ফোন করে। মোবাইলই যে নাতনির মৃত্যুর কারণ হবে বুঝতে পারিনি। বিষয়টি পুলিশকে আমরা জানাব।” কেন এই পদক্ষে