সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রোয় আলিঙ্গন। যুগলের হেনস্তার প্রতিবাদে যখন উত্তাল তিলোত্তমা, তখন মানবিকতার নজির গড়লেন এ শহরের বাসিন্দারাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক সদ্যোজাতর। ঘটনাস্থল সেই দমদম। দমদমের আমতলায় বালির স্তূপ থেকে এক সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুটি চিকিৎসাধীন আরজি কর হাসপাতালে। কে বা কারা শিশুটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেল? তদন্তে নেমেছে দমদম থানার পুলিশ।
[জমা পড়েনি অভিযোগ, যুগল হেনস্তা কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তে কলকাতা মেট্রো]
ফের খবরের শিরোনামে দমদম। তবে এবার আর হেনস্তা নয়, মানবিকতার নজির গড়লেন ছ’নম্বর ওয়ার্ডের আমতলা এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাস্তায় কুকুরগুলির তুমুল চিৎকারে অবাকই হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিন তো সারমেয়রা এমনভাবে ডাকে না। কৌতূহলবশত বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন দমদমের আমতলা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা দেখেন, রাস্তার পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের নিচে বালির স্তূপে পড়ে রয়েছে সদ্যোজাত। আর তাকে ঘিরে রেখেছে বেশ কয়েকটি কুকুর। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমদম থানায়। বালির স্তূপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদম পুরসভার পরিচালিত হাসপাতালে। কিন্তু, ওই হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিচর্যা বা চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। রাতে শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুর ওজন অনেকটাই কম। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
[মেট্রোয় শালীনতা থাকা দরকার, যুগলকে মারধরের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের]
কিন্তু, এমন অমানবিক কাণ্ড কীভাবে ঘটল? সদ্যোজাতকে রাস্তার পাশে বালির স্তূপে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেল? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে দমদম থানার পুলিশ। বুধবার সকালে রীতিমতো কুকুর নিয়ে দমদমের আমতলা এলাকায় তল্লাশিও চলে। তবে তেমন কোনও সূত্র মেলেনি বলে জানা গিয়েছে।
[আলিঙ্গনে ‘শাপমুক্তি’, প্রেম-প্রতিবাদ মিলেমিশেই কলকাতা আবার ‘ভালবাসার শহর’]
The post দমদমের মানবিক মুখ, বালির স্তূপ থেকে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.