সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আমফানের (Amphan) প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাননি। কারণ, ত্রাণ বিলিতেও স্বজনপোষণ হয়েছে। চাপে পড়ে গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Pargana) মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের পূর্ব কৈলাসপুরের নন্দকুমার পঞ্চায়েতের এক সদস্য। এরপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন স্থানীয়রা। পরে বিডিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন কুমার ঘাঁটু আমফানের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকাভুক্ত না করে ‘স্বজনপোষণ’ করেছেন। পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিকট আত্মীয়দের নাম পাঠিয়েছন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়, এই অভিযোগ তুলে এদিন কৈলাসপুর-হরিণডাঙাগামী রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক রিজওয়ান আহমেদ। যায় বিশাল পুলিশবাহিনীও। গ্রামীদের চাপের মুখে অভিযোগ সত্য বলে মেনে নেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য। এরপরই তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করতে হবে বলে দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বাধ্য হয়ে কান ধরে গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসাধীন বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত জঙ্গিপুর হাসপাতাল]
তিনি জানান, “ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে কিছু ত্রুটি ছিল একথা সত্যি। তাই আমি গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।” এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না পাত্র জানিয়েছেন, “গ্রামের ৮৫০০ পরিবারের মধ্যে ৬৫৩৮ টি পরিবারের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা ঢুকেছে। একসঙ্গে সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই এই ক্ষোভ।” তালিকাভুক্ত সকলেই ক্ষতিপূরণের টাকা দফায় দফায় পাবেন, আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে গ্রামবাসীদের অসন্তোষের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন:ভিন ধর্মের যুবককে বিয়ের পরও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ! মহিলাকে একঘরে করল প্রতিবেশীরা ]
The post আমফানের ত্রাণে ‘স্বজনপোষণ’, কান ধরে গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পঞ্চায়েত সদস্য appeared first on Sangbad Pratidin.