সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির প্রবণতা সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়ছে! কোথাও ছেলেধরা, কোথাও চোর সন্দেহে গণধোলাইতে একের পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে এক ব্যক্তিকে মারধরের হাত থেকে বাঁচল নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের (Nabadwip) বুড়োশিব তলা এলাকায় এক বৃদ্ধকে অর্ধনগ্ন করে ইলেকট্রিক পোলের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। ওই ব্যক্তির নাম অরূপ সাহা। তিনি নবদ্বীপের তমালতলার বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁর থেকে স্থানীয় এক চা ব্যবসায়ী কানাই দেবনাথ প্রায় ৮ হাজার টাকা পান। সেই টাকা না দেওয়াই ওই বৃদ্ধকে পোলের সঙ্গে বেঁধে দেন দোকানদার ও স্থানীয় কয়েকজন।
[আরও পড়ুন: থানার সামনেই স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুন! গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী স্বামী]
মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৃদ্ধকে মারধরের আবাহাওয়া তৈরি হয়। খবর যায় নবদ্বীপ থানায়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি চলে আসে পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অজয়কুমার দাস বলেন, "আমি শুনলাম চায়ের দোকানদার টাকা পাবেন বলে বৃদ্ধকে বেঁধে রেখেছেন। কিন্তু এর জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। তাঁকে বেঁধে রাখা ঠিক নয়। অভিযোগ জানালে আইন নিজের মতো ব্যবস্থা নিত। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া ঠিক নয়।" রাজ্যের একের পর গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে আরও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।