সুব্রত বিশ্বাস: লিলুয়ায় (Liluah) হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ১১৫ বছরের প্রাচীন রেলের অডিটোরিয়াম। এই অডিটোরিয়ামটি ‘সিনিয়র ইন্সটিটিউট’ নামে খ্যাত। ঘোষিত হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের (Heritage Building) তকমা পেলেও ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণে রেল কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ উঠল। প্রায় ৫ হাজার বর্গ ফুট ছাদেের একটি বড়সড় অংশ ভেঙে পড়লেও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার লিলুয়া গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন লিলুয়া ওয়ার্কশপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার সুমিত নারুলা।
রেল সূত্রে খবর, ১৯০৬ সালে তৈরি এই অডিটোরিয়ামটি নানা অনুষ্ঠানে ভাড়া দিত রেল। তবে লকডাউন (Lockdown) থেকে ভাড়া দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত সাত–আট মাস আগে এই অডিটোরিয়ামটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে নোটিস টাঙিয়ে দিয়ে ছিল রেল। নির্মিত হয়েছিল এই অডিটোরিয়াম। ব্রিটিশ আমলে এটি ক্লাব হিসেবে ব্যাবহার হতো। এখনও আধিকারিকরা এখানে টেনিস খেলেন। টেনিস কোর্টটি সম্পূর্ণ কাঠের ফ্লোর ফলে তা নষ্টের সম্ভবনা রয়েছে। ভবনটির ভিতরে অডিটোরিয়াম ছাড়া রয়েছে লাইবেরি, ব্রিজ ও ক্যারাম ঘর। মাঝেমধ্যে রংয়ের প্রলেপ ছাড়া আর বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ হোত না বলে অভিযোগ। ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণার পর তিনটি লোহার পিলারের ঠেকনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
[আরও পডুন: সারা বছরই বানানো যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কলকাতায় স্থায়ী কেন্দ্র চালু করছে KMC]
শুক্রবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ভবনটির ছাদ। এলাকা কাঁপানো শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পাশেই আরপিএফের (RPF) লিলুয়া দপ্তর। স্বাধীনতা দিবসের আগে সেখানে বিস্ফোরণের আশঙ্কায় ছুটে আসেন আবাসিকরা। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার সুমিত নারুলা বলেন, ”হেরিটেজ ভবন হিসাবে এটাকে রক্ষা করার জন্য ফের ছাদ তৈরি করা হবে। তবে প্রচুর খরচ হবে। এই অর্থ কোন খাতে পাওয়া যাবে, এখন তা দেখার বিষয়। তবে খুব তাড়াতাড়ি নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে না। সময়সাপেক্ষ বিষয়।”