রাজা দাস, বালুরঘাট: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রাণ বাঁচালো বালুরঘাটের (Balurghat) শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও রাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই কেবল কর্মী ও তাঁর পরিবার। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ শেখর।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থানার অন্তর্গত চকভৃগু ডাকরা এলাকার বাসিন্দা পেশায় কেবল কর্মী শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় (৪২)। উপার্জন অত্যন্ত কম। ফলে সংসার চালানোই তাঁর কাছে রীতিমতো কঠিন। এই পরিস্থিতিতে মাসখানেক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন শেখরবাবু। তাঁর হার্টের অসুখ ধরা পড়ে। স্থানীয় বালুরঘাট হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষা ও চিকিৎসায় কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। কিন্তু চিকিৎসার বিপুল অর্থ কোথা থেকে আসবে তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিল না বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। এরই মধ্যে এলাকার ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন করেন শেখরবাবুর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর অসুস্থতার কথা জানার পর বালুরঘাট পুরসভার কর্মী পঙ্কজ দাসের তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়। সেই কার্ডের মাধ্যমে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় শেখরবাবুকে।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৃণমূলের ভোট কার্ড’, প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর]
শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার্টে দুটি ব্লকেজ ছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সাহায্যে কার্যত বিনামূল্যে তাঁর হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন শেখর। তাঁর কথায়, “এই চিকিৎসা করতে অন্তত ৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে হত। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় আমাকে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয়নি। শুধু করোনা-সহ দু-একটি পরীক্ষার জন্য ১২-১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আমার পক্ষে অপারেশানের ৩ লক্ষ টাকা জোগার করাটা অসম্ভব ছিল। রাজ্য সরকারের প্রতি আমি ও আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ।”