সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল একই শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে৷ ঢাকার অদূরে গাজিপুরের কোনাবাড়ি কাঁচাবাজার এলাকায়।নিহত ছাত্রীর নাম শারমিন আক্তার লিজা, বয়স মাত্র ১৬ বছর৷ কোনাবাড়ি কেমব্রিজ কলেজের হিউম্যানিটিজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আটক ছাত্র স্থানীয় লিংকন কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷তার বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম জানান, ‘বার্ষিক পরীক্ষা শেষে লিজা তার এক বান্ধবী ও সতীর্থের সঙ্গে বাসায় ফিরছিল। পথে কোনাবাড়ি কাঁচাবাজারে পৌঁছালে কিছু বুঝে ওঠার আগে ছেলেটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিজার বুকে আঘাত করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লিজাকে উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের জেরে বন্ধ টলিউডের দরজা, ঋতুপর্ণার বিপরীতে অনিশ্চিত ফিরদৌস!]
নিহতের দাদা সাদিম আহমদ সুজনের অভিযোগ, ছেলেটি কলেজে আসাযাওয়ার পথে লিজাকে উত্ত্যক্ত করত৷ তাকে প্রেম নিবেদন করে, বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। সেই প্রস্তাবে লিজা রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির পর থেকে লিজা কিছুটা আতঙ্কে ভুগছিল৷ গত চার,পাঁচদিন ধরে কলেজে যাচ্ছিল না। গোটা বিষয়টি জানিয়ে ওই ছাত্রের মাকে ফোন করা হয় লিজার বাড়ি থেকে৷ লিজার পরিবারের সদস্যদের দাবি, ছাত্রের মা ঘটনাটি শোনার পর আশ্বাস দিয়েছিলেন, এনিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না৷কিন্তু তারপরই এমন কাণ্ড ঘটে গেল৷ স্বভাবতই অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে লিজার পরিবার৷
অপরদিকে, ঢাকার দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনির একটি বাড়িতে স্ত্রী’কে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যুবক৷ এই অভিযোগে গৃহবধুর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মহিলার নাম হাসি বেগম, তাঁর বয়স ২৭ বছর। অভিযুক্ত স্বামী কমল হোসেন। এই ঘটনায় মুগদা থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন হাসির বাবা শেখ আলতাফ ঢালি। অভিযুক্ত কমল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন : প্রচার ইস্যুতে ক্ষমাপ্রার্থী অনুতপ্ত ফিরদৌস, ঢাকায় চরম উৎকণ্ঠায় নূরের পরিবার]
বছরখানেক প্রেমের সম্পর্কের পর দু’জন আট মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণয় কুমার সাহা বলেন, হাসি ও কমল দু’জনেরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। বিচ্ছেদের পর প্রথম স্বামী সুজনের সঙ্গে হাসি বেগমের যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কমল। এ নিয়ে হাসি ও কমলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ কারণে স্ত্রী’কে শ্বাসরোধ করে খুনের পথে হেঁটেছে কমল। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য হাসির শরীরে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে তা লোপাট করার চেষ্টা করেছিলেন৷
The post প্রেমে প্রত্যাখ্যাত, ঢাকায় ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত নাবালক appeared first on Sangbad Pratidin.