সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কয়েকদিন পরই কথা ছিল বিয়ের। তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ঘর থেকে উদ্ধার স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মহিন্দর। কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম শ্রাবণী হাঁসদা (১৯)। মহিন্দর গ্রামেই বাড়ি। পর্বতপুর গার্লস হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তিনি। শ্রাবণী গত বছর মাধ্যমিক পাশ করেছেন। সম্প্রতি পরিবারের তরফে তাঁর বিয়ের ঠিক করেছিল। চলতি মাসেই বিয়ের কথা। তার আগেই দুর্ঘটনা। রবিবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ঘরেই ছিলেন ওই ছাত্রী। গভীর রাতে গলায় গামছার ফাঁসে তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে এক স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন না কি ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা আসনে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়?]
তবে পরিজনদের দাবি, ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। কী কারণে তা স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রীর আত্মীয় পিন্টু হাঁসদা জানান, বিয়ে ঠিক হয়েছিল শ্রাবণীর। রবিবারও সকলেই ওকে জিজ্ঞেস করেছিল পাত্র পছন্দ কি না। পাত্র পছন্দ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরও শ্রাবণী কেন এমন কাণ্ড ঘটালো তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিজনরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে। তারপরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।