সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: ২০০০ সাল পরবর্তী পৃথিবী, অর্থাৎ কিনা নেটদুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) এই আমল অভিনবত্বে ভরা। ইউটিউবে আজব কাণ্ডের শেষ নেই। এই সময়ে সকলেই তারকা। তেমনই হাতে বারকোডের ট্যাটু (Barcode Tatto) করিয়ে হিট তাইওয়ানের এক যুবক। নেটমাধ্যমে ওই যুবকের হাতে আঁকা ‘বারকোড’ ট্যাটু এবং সেই কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। কিন্তু হাতে হঠাৎ বারকোডের ট্যাটু করাতে গেলেন কেন যুবক?
ডিজিটাল যুগে সঙ্গে নগদ টাকা রাখেন না অধিকাংশ মানুষ। মেশিনে কার্ড ঘষলে কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় টাকা। গোটা পৃথিবীতেই জনপ্রিয় ডিজিটাল লেনদেন (Digital Payment)। তবে কার্ড বা মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে বেরোতে ভুলে গেলে ঝামেলা হয়। ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলেও বিস্তর অস্বস্তি হতে পারে। এমন অবস্থায় হাতে আঁকা বারকোডেই কাজ হয়ে যেতে পারে। সহজেই সম্ভব কেনাকাটা।
[আরও পড়ুন: আট দশকের বন্ধুত্ব, দীর্ঘ বিরতির পর রিইউনিয়ন, দুই বৃদ্ধার ভিডিও দেখে চোখে জল নেটিজেনের]
অন্যদিকে গোটা পৃথিবীতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় ট্যাটু। মেসি কিংবা রোনাল্ডোর মতো রোল মডেলদের গোটা শরীরে ট্যাটু। যা দেখে অনুপ্রাণিত হয় কম বয়সিরা। তাইওয়ানের এই যুবকও এক ঢিলে দুই পাখি মারেন। একদিকে ট্যাটু করিয়ে যেমন ফ্যাশান হল, এমনকী অন্যরকম ফ্যাশন, তেমনই বারকোডটি কাজে লাগানোও যাচ্ছে। আদতে অভিনব ট্যাটু নিয়ে ভাবছিলেন তিনি। তখনই মাথায় আসে শরীরে বারকোড আঁকানোর কথা। যদিও এর ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন ট্যাটু শিল্পী।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও শূর্পনখা বলেছিল মোদি’, ‘রাবণ’ বিতর্কের মাঝে পালটা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী]
কারণ বারকোডের ট্যাটু করা সহজ ছিল না। যদিও শেষ পর্যন্ত নিখুঁত ভাবে যুবকের হাতে বারকোডের ট্যাটু ফুটিয়ে তোলেন এক শিল্পী। যেটি ওই যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত। এখন শরীরে আঁকা বারকোডের সাহায্যে লেনদেন করতে পারছেন যুবক। তবে নিজে একাজ করলেও অন্যদের বারণ করছেন তাইওয়ানের যুবক। কারণ ট্যাটু ফিঁকে হলে বারকোড কাজ করবে না।