shono
Advertisement

টিপ পরে রাস্তায় বেরনোর শাস্তি! ঢাকার শিক্ষিকাকে বাইকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা পুলিশ কর্মীর

থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিগৃহীতা।
Posted: 09:14 PM Apr 03, 2022Updated: 09:33 PM Apr 03, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি কপালে টিপ পরেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে মোটরবাইকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার (Dhaka) ব্যস্ততম ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট বিল্ডিংয়ের সামনে। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮ টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ ওই শিক্ষিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক থেকে রিকশা করে ফার্মগেট আনন্দসিনেমা হলের সামনে যান। সেখান থেকে হেঁটে তেজগাঁও কলেজে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। শিক্ষিকার অভিযোগ, টিপ পরায় তাঁকে কটূ কথা বলে এক পুলিশ কর্মী। প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্মী বাইকে তাঁকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে। কোনওক্রমে সরে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন মহিলা। তিনি পাশেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশকে বিস্তারিত জানান। শিক্ষিকার স্বামী অধ্যাপক মলয় বালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক। তিনি বলেন, পুরো ঘটনায় তারা হতভম্ব। ঢাকার রাস্তায় টিপ পরায় একজন শিক্ষিকাকেই এমনভাবে হেনস্তা হতে হল, তাও আবার পুলিশের একজন সদস্যের কাছে!  এজন্যই আতঙ্কটা বেশি।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র জোর আলোচনা চলছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লবকুমার সরকার বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি থানা পুলিশের নাকি ট্রাফিক বিভাগের সদস্য তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগকেও জানানো হয়েছে। তাকে শনাক্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: মধ্য চৈত্রে উধাও গরম! হিমেল হাওয়ার পরশ জমিয়ে উপভোগ করছেন রংপুরবাসী]

আক্রান্ত শিক্ষিকা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের পোশাকে ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি অভিযুক্তের নাম দেখতে না পারলেও চলে যাওয়ার সময়ে মোটরবাইকের নম্বরটি দেখেছেন। নিগৃহীতা বলেন, “টিপ পরার কারণে আমাকে যেভাবে গালিগালাজ করেছেন, তা মুখে উচ্চারণ করার মতো নয়। ওই লোকটিকে একজন সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী মনে হয়েছে।”

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-সহ সর্বত্র জোর আলোচনা চলছে। সড়কে পুলিশের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে আতঙ্কিত ওই শিক্ষিকা রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলানগর থানায় কাণ্ডের অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে ফেসবুকে একজন লেখেন, “কোনওদিন নামাজ পড়েন না, জীবনে কোনওদিন মসজিদেও যান না। স্মার্ট লাইফ লিড করেন, মদ, ঘুষ সবই খান, কিন্তু হিজাব-নিকাবের বাড়াবাড়ির কথা এলে তারাও পোশাকের স্বাধীনতা এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতার কথা বলে তাঁদের পক্ষ নেন। হয়ত জানেন না আজকাল রাস্তাঘাটে, বিভিন্ন জায়গায় হিজাব না পরা, টিপ পরা নারীদের নানা কটূক্তির শিকার হতে হয়।” আরেকজন লিখেছেন, “এদেশ যতদিন না হবে আফগানিস্তান, টিপ হবে বাঙালী নারীর একান্ত-পরিধান।”

[আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধে পাশে ছিল রাশিয়া’, ইউক্রেন ইস্যুতে সংসদে সাফ জবাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement