সাবির আলি, লালবাগ: পেট খারাপ সঙ্গে লাগাতার বমি। যার জেরে অসুস্থ একাধিক শিশু-সহ অন্তত ২০ জন। ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। সবমিলিয়ে ডায়রিয়া আতঙ্কে ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জিয়াগঞ্জ এলাকায়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, জল থেকেই রোগ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে জলের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে পেট খারাপ ও বমি নিয়ে অসুস্থ হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন শিশুও রয়েছে বলে খবর। সকলেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে বাড়িতেই মৃত্যু হয় ফেনসি মণ্ডল নামে এক বালিকার। এর পরই জিয়াগঞ্জ থানার ডাহাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলা পুষ্করিনী এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬ জন শিশু এবং ৭ জন আজিমগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৪ জন ভরতি লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। আরও দুজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ওমিক্রন আতঙ্ক, পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের শরীরে করোনা]
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। এলাকায় পাঠানো হয় চিকিৎসক প্রতিনিধিদের। সংগ্রহ করা হয় জলের নমুনা। ঘটনা প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “জল থেকেই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তাই এলাকার জল পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।” পাশাপাশি, এলাকার বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আজিমগঞ্জ হাসপাতালে ৫০টি শয্যাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকাশবাবু।
[আরও পড়ুন: লোকালয়ে ফের বাঘের হানা, বেড়াতে গিয়েও আতঙ্কে হোটেলবন্দি সুন্দরবনের পর্যটকরা]
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, জল থেকেই ছড়িয়েছে ডায়রিয়া। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার একটি মাত্র টিউবওয়েল। বাসিন্দাদের নামতে দেওয়া হচ্ছে না পুকুরেও। আতঙ্ক গ্রাস করেছে পুষ্করিনী এলাকার বাসিন্দাদের। সোমবার ওই পাড়াতেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়ের মণ্ডপ বাঁধার কাজ চলছিল। আপাতত অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত রায় বলেন, “ আমার মেয়ের বিয়ের সব আয়োজন পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গ্রামের এই পরিস্থিতিতে কীভাবে আর অনুষ্ঠান করি। তাই মন্দিরে সিঁতাই মন্দিরে সিঁদুর দান করেই মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করব।” এই বিষয়ে ডাহাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মাবের আলি বলেন , “কীভাবে এলাকায় ডায়রিয়া ছড়াল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।”