সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো কাটতে না কাটতেই ফের রক্তাক্ত রাজ্য। ফের শুটআউট। কাকভোরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন জয়নগরের তৃণমূল নেতা। মসজিদে যাওয়ার পথে মৃত্যু তাঁর। কে বা কারা তাঁকে খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহত বছর তেতাল্লিশের সইফউদ্দিন লস্কর, বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদও সামলাতেন। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরন। পথে তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: ‘আর বাঁচব না’, ইডি হেফাজতে মৃত্যুভয় তাড়া করছে জ্যোতিপ্রিয়কে!]
এদিকে, গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয়দের। ঘুমঘোর কাটিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। তাঁরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তৃণমূল নেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আসার পথেই প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতার। দলীয় নেতা খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি বলেন, “নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে এভাবে সইফুদ্দিন খুব হবে, তা ভাবতে পারি না। ও সকলকে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করত। ওর শত্রু আছে বলে জানতাম না।”
যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক। এই ঘটনার নেপথ্যে বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র গন্ধই পাচ্ছেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, “রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করছে বিরোধীরা।” নিহত তৃণমূল নেতার বাবা অবশ্য সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব। কে বা কারা খুন করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বারুইপুরের পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।