বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: চায়ের দোকানে সামান্য বচসার জের। প্রাণ গেল নদিয়ার (Nadia) তৃণমূল কর্মীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই যুবককে খুনের পরই থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার কল্যাণী থানা এলাকার গয়েশপুরের বাসিন্দা প্রদীপ শীল। বয়স আনুমানিক ৩৫। বুধবার সন্ধেয় গয়েশপুরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন শ্যামল দেবনাথ ও বিশ্ব বৈদ্য। তিনজন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ প্রদীপ ও শ্যামলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিশ্ব। সেই অশান্তি চরম আকার নেয়। এরপরই চায়ের দোকান থেকে চলে যায় বিশ্ব। কিছুক্ষণের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফের ওই দোকানে হাজির হয় সে। অভিযোগ, তখনই প্রদীপ ও শ্যামলকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে ওই যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই দু’জন।
[আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2021: ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই সারতে হবে মাধ্যমিকের টেস্ট, নির্দেশ পর্ষদের]
আক্রান্তদের আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় বিশ্ব। এলাকার বাসিন্দা তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় কল্যাণীর জওহরলাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে প্রদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শ্যামলের চিকিৎসা চলছে। এদিকে খুনের কিছুক্ষণের মধ্যেই কল্যাণী থানায় হাজির হয় বিশ্ব। আত্মসমর্পণ করেছে সে।
এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকার। স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, দু’জনেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু এদিন চায়ের দোকানে ঠিক কী হয়েছিল তা জানা নেই। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে চায়ের আড্ডায় কথা কাটাকাটির জেরেই এই নৃশংস ঘটনা। তবে এর নেপথ্যে পুরনো কোনও অশান্তি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, অথবা রাজনীতির যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।