সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার নজিরবিহীন নৃশংসতার সাক্ষী কালনা (Kalna)। এক মহিলার মদতে, তার সামনে বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ১ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোন আক্রোশ থেকে এমন পরিকল্পনা? ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, স্বামী কর্মসূত্রে পাণ্ডুয়া যাওয়ায় মঙ্গলবার বাড়িতে একাই ছিলেন নির্যাতিতা। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে গভীর রাতে তাঁর বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিল ৩ অভিযুক্ত। মহিলা ঘর থেকে বেরতেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে। গলায় ধারাল অস্ত্র ধরে মুখ আটকে তুলে নিয়ে যায় নির্জন জায়গায়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক মহিলা। তার মদতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে অন্ধকার ও মুখ বাঁধা থাকায় নির্যাতিতা কাউকেই শনাক্ত করতে পারেননি। কোনওক্রমে অভিযুক্তদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এরপর বুধবার সকালে তাঁকে ভরতি করা হয় কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: বয়সজনিত কারণ নাকি অন্য কিছু? গরুমারায় দাপিয়ে বেড়ানো গন্ডার ডনের মৃত্যুতে প্রশ্ন]
পুলিশ জানিয়েছে, “ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এক মহিলাও ছিল বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিল। কোনও আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দুষ্কৃতীরা বাংলায় কথা বলছিল। তাদের হদিশ পাবার চেষ্টা চলছে। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে সূত্র পাওয়ার চেষ্টা চলছে।”
অন্যদিকে বুধবার সকালে নির্যাতিতার বাড়ি যান তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আশ্বাস দেন পাশে থাকার, সবরকম আইনি সহযোগিতার। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তাঁরা।