বাবুল হক, মালদহ: মেডিক্যাল কলেজের ছ’তলা ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুলু মালদহ মেডিক্যাল কলেজ (Malda Medical College & Hospital) চত্বর। কী কারণে ঝাঁপ দিলেন ওই তরুণী? আদৌ ঝাঁপ দিয়েছেন নাকি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়েছেন? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সাবেরা খাতুন (২৬)। বাড়ি রতুয়া থানার মাগুরা এলাকায়। বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে যান তিনি। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। মৃতের দাদা মুরশেদ রহমানের কথায় , “বোনকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। বোন আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। ওকে নিচে বসিয়ে কুপনের জন্য ছ’তলায় গিয়েছিলাম। সেইসময় আচমকা হাসপাতালের ছয়তলার ছাদে উঠে পড়ে। সেখান থেকেই পড়ে যায় নিচে।”
[আরও পড়ুন: ‘জেলা ভাগ লেডি বিন তুঘলকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, পালটা তৃণমূলের]
তড়িঘড়ি সাবেরাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি কোনওভাবে পড়ে গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় হাসপাতালকেই কাঠগড়ায় তুলেছে রোগীর পরিবার। মৃত রোগীর আত্মীয়দের কথায়, “ছাদের দরজা যদি তালাবন্দি থাকতো, তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।” অভিযোগ, হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন না। ফলে সহজেই ছাদে উঠতে পেরেছিলেন ওই তরুণী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা তরুণীকে ঝাঁপ দিতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকার চেষ্টা করে। কিন্তু সাহায্য না করে কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলতে শুরু করে দেয়। কার্যত সকলের চোখের সামনে মরণঝাঁপ দেয় তরুণী। প্রকাশ্যে দিবালোকে এরকম দুর্ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এবিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: পুরঞ্জয় সাহা জানিয়েছেন, “বিষয়টি শুনেছি। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তা পরিষ্কারভাবে বলতে পারব না। সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও কোনও গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”