অর্ণব দাস, বারাসত: বিয়ে চারমাস পেরনোর আগেই বধূর রহস্যমৃত্যু। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে হুগলির ত্রিবেণীর বাসিন্দা মিলি দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় আমডাঙার মদনপুরের সৌমজিৎ রায়ের। বিয়ের পর থেকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন। বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে মিলিকে দেওয়া হয়েছিল কয়েক ভরি সোনা। অভিযোগ, সেই সোনার গয়না এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন সৌম্যজিৎ। প্রায় সেই গয়না স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে বলতেন মিলি। এ নিয়ে নবদম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেইছিল। সোমবার মিলি বাপেরবাড়িতে ফোন করে অশান্তির কথা জানান। বাবা মাকে যেতেও বলেছিল বলে খবর।
[আরও পড়ুন: রেমালের জেরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালে শিশুমৃত্যু! চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব পরিবার]
এর কিছুক্ষণ পর সৌমজিৎ শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান, মিলি অসুস্থ। তড়িঘড়ি মিলির বাপেরবাড়ির লোকজন মদনপুরে গিয়ে জানতে পারেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। মৃতার মা রানু দাস বলেন, "মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দায়ী। মেয়ের মুখ দিয়ে রক্ত বেরচ্ছিল। গালে পাঁচটা আঙুলের দাগ রয়েছে। তাই স্পষ্ট মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমরা আমডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি পুলিশকে।" আমডাঙা থানা পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।