রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পুত্র সন্তান পেতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় প্রথম স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত উদ্ধার হয় বধূর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার মুরুটিয়া থানার দাসপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়ার ধোরাদহের বাসিন্দা ভৈরবীর সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয়েছিল বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁদের ২ কন্যাসন্তান রয়েছে। ভৈরবীর পরিবারের দাবি, পুত্র সন্তানের আশায় দ্বিতীয় বিয়ের কথা চিন্তা করছিল বিশ্বজিৎ। বছরখানেক ধরে সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও লেগেছিল। দোল উৎসবের দিন অশান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। সন্তানদের নিয়ে বাপেরবাড়িতে বাড়িতে চলে যান ভৈরবী। যদিও পর দিন তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শ্বশুরবাড়িতে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত ২টো নাগাদ এক অজ্ঞাতপরিচয়ের ফোনে ভৈরবীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর শোনা মাত্র ভৈরবীর বাপেরবাড়ির লোকজন পৌঁছে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ি। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন:‘কাজ করেছি, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না’, কুন্তল যোগ নিয়ে মুখ খুললেন এনা সাহা]
মৃতার মা ভাদু দাস জানান, ২ মেয়ে ছিল বলে জামাই বিশ্বজিৎ অশান্তি করত। ও চাইত একটা ছেলে হোক। তাই আবার বিয়ে করবে বলে ঝামেলা করছিল। মেয়ে সব জানায় অশান্তি চরমে ওঠে। সেই কারণেই মেয়েকে খুন। সমর দাস নামে মৃতার এক আত্মীয় বলেন, “মঙ্গলবারও দুপুরে ফোনে কথা হয়েছিল আমার সঙ্গে। ও ভাল করে কথা বলল না। মনে হল খুব কষ্টে আছে। তা বলে যে ওকে এভাবে মেরে ফেলবে ভাবতেও পারিনি।”
তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, “মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”