বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জেরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই বধূর বিরুদ্ধে। ঘটনার পিছনে অভিযুক্তের প্রেমিক ও মেয়েরও হাত রয়েছে, এই দাবি তুলে সোমবার তিনজকেই মারধর করে উত্তেজিত জনতা। চুল কেটে দেওয়া হয় ওই বধূর। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। ঘটনাটি নদিয়ার রানাঘাটের (Ranaghat)।
নদিয়ার রানাঘাটের কুপার্স পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন মৃত অজয় ঘরামী। রাজমিস্ত্রী ও মৃৎশিল্পীর কাজ করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপরই মৃতের স্ত্রী ও নাবালিকা মেয়ের উপর ক্ষোভ উগরে দেয় তাঁরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। রেহাই পায়নি স্বপন বল নামে মৃতের এক দাদা। সেই সময়ই উত্তেজিত জনতা চুল কেটে দেয় মৃতের স্ত্রীর। গোটা ঘটনার খবর পেয়ে রানাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: সিসিটিভি ভাঙা কেন, কোথায় নিরাপত্তারক্ষীরা? মণীশ খুনের তদন্তে একাধিক অসংগতি ঘিরে প্রশ্ন]
কিন্তু কেন এই হামলা? স্থানীয়দের কথায়, মৃতের তুতো দাদা স্বপন বলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই বধূ। যা নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তিও হত। সেই কারণেই স্বামীর থেকে মুক্তি পেতে, প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে অজয়কে খুন করে সে। তাঁদের অভিযোগ গোটা ঘটনায় মৃতের মেয়েরও যোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মৃতের এক আত্মীয়া বলেন, সম্প্রতি অজয় দাদা স্বপনের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। সেই নিয়ে ঝামেলা চরমে উঠেছিল। সেই কারণেই খুন। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ তিন অভিযুক্ত। এবিষয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”