সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের। বধূ ও ৭ বছরের শিশুপুত্রকে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব মৃতার পরিবার।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের অমরপুরের বাসিন্দা ওই বধূর নাম সুষমা মালিক। বয়স মাত্র ২৫। তাঁর ৭ বছরের একটি ছেলে ছিল। জানা গিয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় বধূর। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেশের বশে প্রায়ই সুষমাকে মারধর করত তাঁর স্বামী। দিনদিন বাড়তে থাকে অত্যাচার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুষমার ঝুলন্ত দেহ। পাশেই ছিল ছেলে মহাদেবের নিধর দেহ। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর যায় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে পলাতক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মহিলা, চলছে জোর তল্লাশি]
মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, প্রায়দিনই মৃতার স্বামী তাঁকে মারধর করত। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে সুষমাকে। যদিও খুন করা হয়েছে নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছেলেকে হত্যার পর বধূ আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন। তবে ঠিক কী হয়েছিল তা স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই। তবে স্ত্রী-সন্তানের রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই স্বামী পলাতক হওয়ায় খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা।