রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে একাধিকবার সহবাস। শেষে বিপাকে পড়তেই প্রেমিকাকে ফেলে চম্পট যুবক। বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় তরুণী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে।
নদিয়ার তেহট্টের বাহাদুরপুর নতুন পাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী। তেহট্টের দক্ষিণ জিৎপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবক। ২০১৭ সালে রাজ্য পুলিশে চাকরি পান তিনি। বর্তমানে পোস্টিং মালদহে। বছর দুয়েক আগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পরিচয় হয় দুজনের। ক্রমেই কথা বার্তা থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। তরুণীর অভিযোগ, একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা করে তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষার সূচি বদল, বিতর্কে উলুবেড়িয়ার স্কুল]
ওই তরুণীর দাবি, গত সোমবার প্রেমিক ফোন করে তাঁকে ডাকে বিয়ের জন্য। সেদিনও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। এরপর সন্ধেয় নাকি ওই যুবক জানান, এত রাতে বিয়ে করা সম্ভব নয়। প্রেমিকাকে মামার বাড়ি চলে যেতে বলেন তিনি। পরের দিন ফের প্রেমিকাকে ডেকে পাঠায় ওই পুলিশ কর্মী। ওইদিন এক বন্ধুর বাড়িতে সহবাস করে বলে দাবি তরুণীর। তারপর ফের শারীরিক সম্পর্কের জন্য এক জঙ্গলে নিয়ে যায় প্রেমিক। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁদের ধরে ফেলে। এরপর তাঁদের বিয়ে দিতে উদ্যত হয় স্থানীয়রা। কোনওক্রমে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বেঁচে পালায় পুলিশ কর্মী ওই যুবক।
এরপর তরুণীকে ছেড়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় তরুণী। এখনও যুবক ঘরে ফেরেনি বলেই খবর।