সুমন করাতি, হুগলি: বাবার চিকিৎসায় প্রায় নিঃস্ব। তার জেরে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত তরুণীর। চোখের সামনে নিজের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে স্থির থাকতে পারেননি মা। সন্তানের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা। মহিলা বর্তমানে ভর্তি হাসপাতালে। হুগলির কোন্নগরের ক্রাইফার রোড লাগোয়া অরণি আবাসনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ওই আবাসনে বছর সাতেক আগে ফ্ল্যাট কেনে মুখোপাধ্যায় পরিবার। বুদ্ধদেব এবং কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র মেয়ে বিপাশা। বছর পঁয়ত্রিশের বিপাশা ছিলেন অবিবাহিত। তাঁদের সংসার চলত মা ও বাবার পেনশনের টাকায়। বাবা বুদ্ধদেব শয্যাশায়ী। চিকিৎসার খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আর্থিক অবস্থার অবনতিতে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। তার জেরে নেন চরম সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান দখলের স্বপ্ন অধরা আর্সেনালের, হার টটেনহ্যামেরও]
শুক্রবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিপাশা। মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন মা। কৃষ্ণাদেবীও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা মা, মেয়েকে দেখতে পান। কৃষ্ণাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে বিপাশার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।