অর্ণব আইচ: বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন গল্ফগ্রিনে (Golf Green) বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। স্বামীর দাবি, আত্মঘাতীই হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তবে কি কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মায়ের মৃত্যুতে শোকে পাথর বছর এগারোর ছেলে।
দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিনের বিক্রমগড়ে আবাসনের তিনতলায় আত্মীয়ার ফ্ল্যাটে (Flat) থাকতেন রিনা সাহা নামে বছর চল্লিশের ওই মহিলা। তাঁর স্বামী এবং এগারো বছর বয়সি সন্তান থাকত অন্যত্র। ওই বহুতলেরই নিচের তলায় থাকেন মহিলার মা ও বাবা। দিনকয়েক ধরে মহিলার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর স্বামী এবং ছেলে ফ্ল্যাটে এসে ডাকাডাকি করলেও খুলে দেননি দরজা। তাই সন্দেহ হয়। আবার প্রতিবেশীরা শনিবার দেখেন মহিলার ফ্ল্যাটের বাতানুকূল যন্ত্র থেকে ক্রমাগত জল পড়তে দেখেন। তা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানান ওই প্রতিবেশী। এরপরই গলফ গ্রিন থানার পুলিশকে খবর দেওয়া। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে ভিতর ঢুকতেই অবাক হয়ে যান। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মহিলার দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দীপা হওয়া হল না, Tokyo Olympics-এর প্রাথমিক রাউন্ড থেকেই বিদায় বাংলার প্রণতির]
নিহত মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও (Divorce Case) করেছিলেন মহিলা। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি মহিলার স্বামীর। যদিও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে খোলসা করে কিছুই জানাননি ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা। তবে প্রকৃত সত্যি জানার জন্য ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশকর্মীরা। মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। একই আবাসনে থাকা সত্ত্বেও কেন পাঁচদিন ধরে কেন মেয়ের খোঁজ নিলেন না বাবা-মা? মহিলার স্বামী ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পাওয়ার পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? এই সব প্রশ্নের জট খুললেই আসল সত্যি সামনে আসবে বলেই মনে করছে পুলিশ।