সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: চোলাই মদ বিক্রির অভিযোগ ধৃত যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ আবগারি দপ্তরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) বাগমুণ্ডির রবিডি গ্রামে। আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের মারধরেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এই অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকে ঝালদা-বাঘমু্ণ্ডি সড়কের চড়িদায় দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
ব্যাপারটা ঠিক কী? বাঘমুণ্ডি থানার রবিডি গ্রামের বাসিন্দা শিকারি মুড়া। অভিযোগ, গত ১৬ তারিখ দেশি মদ বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় গ্রামের বাসিন্দা শিকারি মুড়াকে। আবগারি দপ্তর তাঁর কাছ থেকে ২০ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করে বলে খবর। ওইদিনই আদালতে তোলা হয়েছিল শিকারিকে। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরের দিন অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। শিকারির পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০ তারিখ তাঁদের জানানো হয় যুবকের মৃত্যু সংবাদ।
[আরও পড়ুন: কবর থেকে ছেলের দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত নয়, সিটকে জানালেন আনিসের বাবা]
জানা গিয়েছে, ১৭ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে সংশোধনাগারেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় শিকারির। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ২০ তারিখ মৃত্যু হয় যুবকের। মঙ্গলবার দেহ পৌঁছয় মুড়া পরিবারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের দাবি, গ্রেপ্তারির পর আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা বেধড়ক মা্রধর করে শিকারিকে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শিকারির ভাই লালটু মুড়ার কথায়, “দাদাই পরিবার চালাত। আবগারি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ওরাই মারধর করে মেরে ফেলেছে। অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।” মৃতের পারিবারের তরফে আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানানো হয়েছে। চাকরির দাবিও উঠেছে।
বাঘমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, ঝালদা আবগারি দপ্তর শিকারিকে গ্রেপ্তার করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি, মারধরের জন্য শিকারির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আবগারি দপ্তরের ঝালদা সার্কেলের অফিসার ইন-চার্জ মইদুল ইসলাম বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক যুবককে। পরে আদালতে তোলা হয়। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আদালতে তোলার পরের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।”