রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নৃশংস! দিল্লিতে (Delhi) বাংলার হাতুড়ে চিকিৎসককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার তেহট্টে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শৈলেন হাওলাদার। বয়স ৪২ বছর। পেটের তাগিদে দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে থাকতেন তিনি। পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। মৃতের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামীর চেম্বারের উলটো দিতে একটি মুদি দোকান ছিল। সেখানকার মালিক নাকি শৈলেনবাবুকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। সে কথা ওই চিকিৎসক স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। এরপরই শৈলেনের মৃত্যু সংবাদ আসে তেহট্টে। মৃতের স্ত্রীর দাবি, ওই দোকানদারই পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামীকে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শৈলেশ হাওয়াদার সম্পর্কিত একাধিক নথি তলব করেছে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মূর্তি গড়ার সময় কারখানায় ঢুকে পড়ল গাড়ি, হাওড়ায় মৃত্যু মৃৎশিল্পীর, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমা]
যদিও খুনের নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা ছাড়াও একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। সেই কারণেই শৈলেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। সেই রাগেই জেরে নাকি এই নৃশংস কাণ্ড। যদিও ঠিক কী ঘটেছিল, কেন খুন করা হল? ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, পুরোটাই এখনও ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি শনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা। রিপোর্ট আসার পর দেহ ফিরবে গ্রামে। অপেক্ষার প্রহর গুণছেন পরিবারের সদস্যরা।