সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত ফুরোলেই জামাইষষ্ঠী। এখন থেকেই জামাই আদরের তোড়জোড় শুরু হয়েছে অনেকের শ্বশুরবাড়িতে। বাঙালিদের কাছে জামাইষষ্ঠী অলিখিত উৎসব। সঙ্গে পেটপুজো তো আছেই। জামাইরা সকাল-সকাল কেউ মিষ্টির হাঁড়ি, কেউ আম, লিচুর প্যাকেট হাতে হাজির হন শ্বশুরবাড়িতে। জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়িতে যান চর মেঘনার জামাইরাও। তবে হাতে মিষ্টির প্যাকেট বা আম, জাম না থাকলেও পকেটে থাকে আধার কার্ড বা সরকারি পরিচয়পত্র। তা না হলে ফিরে আসতে হবে শ্বশুরবাড়ির দুয়ার থেকে। ব্যাপারটা কী? কেন দরকার আধার কার্ড?
নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২০ নম্বর কাঁটাতারের গেট পেরোলে চর মেঘনা (Char Meghna)। স্বাধীনতার পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ভারতের অর্ন্তভুক্ত হয়েছে এই এলাকা। তবে কোথাও যেন দেশে থেকেও বিদেশি ওঁরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে গ্রামে ঢুকতে, বেরতে হয়। এমনটাই নিয়ম।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল চত্বরেই যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, তুলকালাম চন্দননগরে]
স্বাভাবিকভাবেই বাদ যান না জামাইরা। সীমান্তরক্ষীদের (BSF) কাছে পরিচয়পত্র জমা দিয়ে গ্রামে যেতে হয়। শুধু যাওয়া নয়, বলে দিতে হয় কবে ফেরত আসবেন। তাই জামাইয়ের হাতে আম-জাম-লিচু, মিষ্টির হাঁড়ি থাকুক বা না থাকুক, পকেটে রাখতেই হবে পরিচয়পত্র। আর কোনও কারণে ভুলে গেলেই সর্বনাশ! কাঁটাতারের এপার থেকেই ফিরে আসতে হবে। কবে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে তার ঠিক নেই। তাই মেয়ে-জামাইকে কড়া ভাবে বাবা-মা মনে করিয়ে দেন, "সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়িস, রাতেই পকেটে আধার কার্ডটা (Aadhar Card) পুরে নিতে ভুলিস না।"