সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI), দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি ইস্তফাপত্র (Resignation Letter) পাঠিয়েছেন। ইমেল, ফ্যাক্স ও ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে পদত্যাগপত্র। এবার তিনি ‘বৃহত্তর’ কাজে নামার জন্য একেবারে তৈরি। আগেই বলেছিলেন, রাজনীতির ময়দানে নামবেন। সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) লড়বেন তমলুক কেন্দ্র থেকে।
২০২০ সাল থেকে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) স্থায়ী বিচারপতি হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিচার, পর্যবেক্ষণ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। বিশেষত শিক্ষা দুর্নীতিতে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দপ্তরের একাধিক শীর্ষ কর্তাব্যক্তি পুলিশের জালে এসেছেন। তার পর থেকেই বিচারপতি হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মনে বিশ্বাস জন্মায় যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই তাঁদের সুবিচার পাইয়ে দিতে পারেন। সেই বিশ্বাস আরও বাড়ে, যখন স্রেফ মন্ত্রীর মেয়ে হয়েই চাকরি পেয়ে যাওয়া শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে সেই পদে যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। এমনই তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিচারের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর আস্থা বাড়ে।
[আরও পড়ুন: জলভরা সন্দেশেই মিটল ‘তিক্ততা’! ‘TMC একটাই পরিবার’, সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি কুণালের]
রবিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন, তাঁর সেই সিদ্ধান্তের কথা শুনে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন এতদিনের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, তাহলে আর সুবিচার কে দেবেন? এমনকী সোমবার যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শেষবারের মতো এজলাসে গিয়েছিলেন, তখন আইনজীবীরাও তাঁকে বারবার অনুরোধ করেন, এখনই যেন তিনি মামলাগুলি ছেড়ে না দেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে অভিজিৎবাবু জানিয়েছিলেন, আদালতের কাজ শেষ। তিনি এখন অন্য কাজে নামবেন। সেইমতোই মঙ্গলবার তিনি অবসর নিলেন। নতুন কেরিয়ার শুরু করবেন রাজনীতির ময়দানে।