সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর খবরে সিলমোহর। বিজেপির হয়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি মাসেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে।
গত ৩ মার্চ, বোমা ফাটান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তার পরদিনই কলকাতা হাই কোর্টে ছিল তাঁর শেষ দিন। গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। আদালত কক্ষ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিলিগুড়ির জনসভার মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। 'সংবাদ প্রতিদিন'ই প্রথম দাবি করে, তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামে ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর খবরেই সিলমোহর। রাজনীতিতে যোগদানের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) টিকিট পেলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুক থেকেই লড়ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে দেবাংশুর তমলুকের বাড়িতে ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’, খবর বনদপ্তরে]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় তমলুক (Tamluk) বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে জয়ী হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কনিষ্ঠ প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। এদিকে, বিচারপতি থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাতারাতি হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর 'মসিহা' হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়ে তমলুক কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও তৃণমূল আগেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তরুণ প্রার্থী দিয়ে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদির আশীর্বাদধন্য 'জাস্টিস গাঙ্গুলি' নাকি 'তরুণ তুর্কি' দেবাংশু লোকসভার মেগাফাইটে কে শেষ হাসি হাসেন সেটাই এখন দেখার।