সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষ। সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তর ছাড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন তিনি। রাত পৌনে ন’টার সময় বের হলেন তিনি। বেরিয়ে একবার ফের জানালেন, এবার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস মাইনাস ২। আবার ডাকলে নির্যাস মাইনাস ফোর হবে। বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর দাবি, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফলে ভয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এসব করছে।
বুধবার সকাল ১১ টার কিছুটা পর কালীঘাট থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অভিষেক। ১১ টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তিনি। চলে যান ছ’তলায়। সেখানেই তাঁর জন্য প্রশ্নমালা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বেলা ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তবে সেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য বলেই দাবি তৃণমূল সাংসদের। তিনি জানিয়েছেন, যা যা প্রশ্ন করা হয়েছে, তার প্রয়োজন মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। আবার ডাকলে আবার আসবেন তিনি।
তবে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, “২৪ ঘণ্টা কেন, ৪৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আমার কিছু যায় আসে না। আবার ডাকলে আবার আসব। কিন্তু এটা মনে রাখবেন, বাংলার মানুষ দিল্লির কাছে মেরুদন্ড বিক্রি করে না। ৯ ঘণ্টাক জিজ্ঞাসাবাদে আমার মেরুদন্ড বিক্রি হবে না।”
[আরও পড়ুন: অভিষেককে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং, #ABJhukegaNehi]
একইসঙ্গে দপ্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তিনি। আগামিকাল মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে বিচারপতির কাছে তাঁর বয়ান পেশ করা হোক, দাবি অভিষেকের। বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে আদালতে দিন। দম থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন। আমাকে গ্রেপ্তার করলে আদালতে আমার লিখিত বয়ান জমা দিতে হবে।” অভিষেকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায়র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, “সংস্থায় এসএসসি দুর্নীতির ১০ পয়সা ঢুকেছে প্রমাণ করুন।”