মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ভোটপ্রচারে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের চাপে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের। শনিবার প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী তথা উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনেই প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখান থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
সভামঞ্চে সাজদা আহমেদের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে অভিষেকের বিস্ফোরক অভিযোগ, "এই উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের মানুষের সর্বক্ষণের কর্মী, সাথী ছিলেন সুলতান আহমেদ। সিবিআই দিয়ে অত্যাচার করিয়ে মানুষটাকে মারা হয়েছে।" এর পরই তাঁর আর্জি, "তাঁর সহধর্মিনী আপনাদের কাছে শুধু সমর্থন চাইতে নয়, বিজেপিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার জন্য় আশীর্বাদ, দোয়া চাইতে এসেছেন।"
[আরও পড়ুন: অমিত শাহকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে ‘কয়লা মাফিয়া’! তালিকা প্রকাশ করে তোপ তৃণমূলের]
২০১৭ সালে মৃত্যু হয়েছিল উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গীর নাম জড়িয়েছিল নারদ কাণ্ডে। তদন্তে নামে সিবিআই। সেই তদন্ত চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল সুলতানের। সেই মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, নারদ তদন্তের জন্য খুবই টেনশনে ছিলেন সুলতান। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় উলুবেড়িয়ার সাংসদের। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতি সিবিআই কতটা অমানবিক, তা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মমতা।
দলীয় সাংসদের মৃত্যুতে দলনেত্রীর থেকে একধাপ এগিয়ে সিবিআইকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সুব্রত বক্সিও। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলিহেলনে তদন্তের নামে মানসিক চাপে ফেলা হয় সুলতানকে। সারদা-নারদের নাম করে গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সুলতানকে ব্যতিব্যস্ত করা হয়। যার জেরে তিনি পরিবার ও সামাজিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। এবার ভোটের আবহে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিষেকও। তিনি যখন সুলতানের মৃত্যুর কথা বলছেন, মঞ্চে দাঁড়িয়ে চোখ মুছছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রার্থী সাজদা আহমেদ।