ধীমান রায়, কাটোয়া: ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূ্র্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়া বৈথন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গীধগ্রাম পঞ্চায়েতের কৈথন গ্রামের মাদ্রাসাপাড়ার বাসিন্দা রবি শেখের ছেলে নইম। রবি শেখ কেরলে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী তাজমিরা বিবি, মেয়ে সুময়া খাতুন ও ছেলে। এদিন তাজমিরা বিবি তার ছেলে নইমকে মুদির দোকানে পাঠিয়েছিলেন বিস্কুট কিনতে। তখন একটি ট্রাক্টর গোরাগাছা গ্রামে জিনিস নামিয়ে কাটোয়ার দিকে ফিরছিল। স্থানীয়রা জানান, দ্রুতগতিতে আসা ট্রাক্টরের সামনে পড়ে যায় নইম।
[আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কৃষ্ণনগরে, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর]
খুদেকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় ট্রাক্টরটি। ট্রাক্টরটিকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরই তাঁরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, বেলাগাম যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চলে একটানা অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক, কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।পুলিশ আধিকারিকদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। শেষে প্রায় দু’ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার হতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ঘাতক ট্রাক্টর আটকের পাশাপাশি চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রাক্টরটি খুদেকে ধাক্কা মেরেই দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। শেষে কাটোয়ার গাঁফুলিয়া গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যাওয়ায় ধরতে সক্ষম হন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ট্রাক্টরের পিছনে ধাওয়া করেছিল। তাঁরা গাঁফুলিয়ার কাছে ট্রাকটর চালককে ধরে ফেলে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।