shono
Advertisement

ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল পুরুষ ‘বন্ধু’, রাজি না হওয়ায় খুন! যাদবপুরে প্রৌঢ়ের হত্যায় নয়া তথ্য

মঙ্গলবার বাড়ি থেকে লেপ ও প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ়ের দেহ।
Posted: 08:34 PM May 19, 2022Updated: 08:52 PM May 19, 2022

অর্ণব আইচ: যাদবপুরে (Jadavpur) প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বন্ধুর বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণেই প্রাণ গিয়েছে ওই প্রৌঢ়ের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুভাষচন্দ্র রায়। বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনের অদূরে বিদ্যাসাগর কলোনিতে। গত মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুরের বিজয়গড়ের ফ্ল্যাট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রৌঢ় নিধিচন্দ্র কুণ্ডু তাঁর বন্ধু ছিল। মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে সুভাষের কথা। এলাকার রুটির দোকানের মালিক জানান যে, গত ১৫ মে তাঁকে প্রৌঢ় বলেন, এদিন রাতে তিনি রুটি নেবেন না। বাড়িতে অতিথি আসছে। তাঁরা ভাত খাবেন। মোবাইলের সূত্র ধরে সেই ‘অতিথি’র হদিশ পুলিশ পায়। এরপর সিসিটিভির সূত্র ধরেও দেখা যায়, টিভি ও ল্যাপটপ নিয়ে পালাচ্ছে এক ব্যক্তি। শেষে সুভাষকে শনাক্তও করা হয়।

[আরও পড়ুন: মালদহে জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ, CBI ও NIA-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাই কোর্ট]

মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, সে পালিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ও সেখান থেকে লক্ষ্মীকান্তপুরে। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাজ খোঁজার নাম করে লুকিয়ে থাকে সে। কিন্তু পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে, তা বুঝতে পেরেই মালদহে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে পালায়। পরিবারের লোকেরা তাকে ফোন করে ফেরার জন্য চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসার পরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জেরার মুখে ধৃত সুভাষ জানায়, সে আগে আইনজীবীর করণিক ছিল। এখন দালালের কাজ করে। বিদ্যাসাগর কলোনিতে তার বাড়ির কাছেই আগে থাকতেন নিধিবাবু। সেখান থেকেই দু’জনের পরিচয়। কিছুদিন আগে নিধিবাবুর মা অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে বোনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন প্রৌঢ়। সেই সুযোগে সুভাষ তাঁকে ফোন করে বাড়িতে আসবে বলে জানায়।

গত ১৫ মে সন্ধেয় সুভাষ ও নিধিবাবু মদ্যপান করেন। মুরগির মাংস ও ভাত রান্না করে খান। ধৃত ব্যক্তির দাবি, মদ্যপ অবস্থায় বেশি রাতে সে মৃত নিধিবাবুর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করে। অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। তার এহেন কাজে বাধা দেন নিধিবাবু। তা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। বাদানুবাদ চলার সময়ই অভিযুক্ত ব্যক্তি নিধিবাবুর কপাল দেওয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেয়। প্রচণ্ড আঘাত ও রক্তপাতের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। ধৃতের দাবি, তার খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখ ও পা প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে দেয় সুভাষ। সকাল ৬টা নাগাদ বাইরে থেকে দরজা লক করে জিনিসগুলি নিয়ে পালিয়ে যায় সে। সেগুলি পরিচিত এক ভ্যানচালকের কাছে রেখে দিয়েছিল সে। তাকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা নিজাম প্যালেস, অবশেষে CBI দপ্তরে হাজিরা পরেশ অধিকারীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement