সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। মধ্যমণি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাশে দলের দীর্ঘদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান নেতারা।সংগঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। এই মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে দর্শকাসনে বসে মমতার 'প্রিয়' ভাই কেষ্ট। গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে প্রায় ২ বছর পর নিজভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল, বীরভূমে দলে জেলা সভাপতি। সোমবার তাঁকেই কালীঘাটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতামত জানতে চাইলেন। সূত্রের খবর, সোমবার বৈঠক চলাকালীন প্রথমে অনুব্রতর কাছে কুশল সংবাদ নেন মমতা। তার পর জানতে চান, ''কিছু বলবি, কেষ্ট?'' সবিনয়ে বীরভূমের দাপুটে নেতা জানালেন, তাঁর কিছু বলার নেই।
পুজোর আগে দিল্লির তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত বীরভূমে ফেরার পর পরই সেখানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উভয়ের সাক্ষাতের সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। এর পর অবশ্য জেলা রাজনীতিতে বেশ কিছু ওঠাপড়া হয়েছে। জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ অনুগামীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যাচ্ছিল অপর গোষ্ঠীকে। জেলা সংগঠন চালানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় নিয়েও কিছুটা সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে বৈঠক করে কোর কমিটি। তাতে অনুব্রত মণ্ডলকে সদস্য করে নেওয়া হয়। এর পর সোমবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে অনুব্রতকে ডেকে পাঠান মমতা। যদিও অনুব্রত এই কমিটির সদস্য নন। তাই এভাবে তাঁকে তলব করায় একাধিক সম্ভাবনা উসকে উঠেছিল।
তবে কালীঘাটে প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে মমতা-অনুব্রতর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়, একেবারে সাধারণ কথোপকথন হল। তিনি জানতে চাইলেন, ''কেমন আছিস কেষ্ট? শরীর ঠিক আছে?'' জবাবে অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, ''হ্যাঁ আমি শরীর ঠিক আছে।'' এর পর আলোচনার মাঝে অনুব্রতর উদ্দেশে দলনেত্রী ফের প্রশ্ন করেন, ''কিছু বলবি কেষ্ট? তাতে তিনি জানান, তাঁর কিছু বলার নেই।'' তবে এতদিন পর হলেও দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ একাধিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।