গোবিন্দ রায়: কোভিডকালে যাদবপুরের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব। সেই অভিযোগে তোলপাড়ও কম হয়নি। এবার সেই দেবাঞ্জনই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ। প্রাণনাশের আশঙ্কায় নিরাপত্তার দাবি জানালেন আদালতে।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এবং মামলা সিবিআইকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাঞ্জন দেব। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ভ্যাকসিন কাণ্ডে আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত। কলকাতা পুলিশ ওই ‘মাথা’দের আড়াল করার চেষ্টায় ব্যস্ত। তাই তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেই আশঙ্কা দেবাঞ্জন দেবের। তাঁর নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের আবেদনও জানিয়েছেন দেবাঞ্জন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’, মকাইবাড়িতে শ্রমিকদের সঙ্গে চা পাতা তুললেন মুখ্যমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের জুন মাসে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী কসবার ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেন। তবে তাঁর মোবাইল নম্বরে কোনও মেসেজ না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। গোটা বিষয়টি জানান কলকাতা পুরসভায়। আর তাতেই দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি সকলের সামনে আসে। জানা যায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় দেবাঞ্জন দেব। প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।